- আচরণ বিধি
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের আচরণবিধি
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো এমন একটি স্থান, যেখানে একজন মানুষ জ্ঞান, নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধের শিক্ষা লাভ করে। শুধুমাত্র পাঠ্যবইয়ের জ্ঞান অর্জনই শিক্ষার মূল লক্ষ্য নয়; বরং একজন শিক্ষার্থীকে আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সুশৃঙ্খল ও শালীন আচরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু নির্দিষ্ট আচরণবিধি নির্ধারণ করা হয়, যা মেনে চললে শিক্ষার পরিবেশ সুন্দর ও কার্যকর হয়।
প্রথমত, একজন শিক্ষার্থীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গুণ হলো সময়নিষ্ঠা ও নিয়মিততা। প্রতিদিন সময়মতো বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকা, ক্লাসে মনোযোগী থাকা এবং পাঠ্যবই ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সঙ্গে রাখা একজন দায়িত্বশীল শিক্ষার্থীর পরিচায়ক। নিয়মিত পড়াশোনা ও উপস্থিতি শিক্ষাগত উন্নতির পাশাপাশি দায়িত্ববোধও তৈরি করে।
দ্বিতীয়ত, শিক্ষক ও সহপাঠীদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আচরণ করা অত্যন্ত জরুরি। শিক্ষক হলেন জ্ঞানের দিশারি, তাই তাদের প্রতি বিনয়ী ও শ্রদ্ধাপূর্ণ আচরণ করতে হবে। সহপাঠীদের সঙ্গে ভদ্র ব্যবহার, পারস্পরিক সহযোগিতা এবং একে অপরের প্রতি সহানুভূতি একটি সুস্থ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ গড়ে তোলে।
তৃতীয়ত, শিক্ষার্থীদের অবশ্যই বিদ্যালয়ের নিয়ম-কানুন মেনে চলা উচিত। নির্ধারিত পোশাক পরা, শ্রেণিকক্ষ, মাঠ ও করিডোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং বিদ্যালয়ের সম্পত্তির প্রতি যত্নশীল হওয়া শিক্ষার্থীর দায়িত্ব। বিদ্যালয়ের কোনো সম্পত্তি নষ্ট করা, দেয়ালে লেখা বা আবর্জনা ফেলা শৃঙ্খলার পরিপন্থী।
চতুর্থত, শিক্ষার্থীর মধ্যে নৈতিকতা ও সততার চর্চা থাকা প্রয়োজন। পরীক্ষায় নকল না করা, মিথ্যা না বলা, অন্যের ক্ষতি না করা এবং দায়িত্বপূর্ণ আচরণ করা একজন ভালো শিক্ষার্থীর পরিচয় বহন করে। সততা ও নৈতিকতা এমন দুটি গুণ, যা জীবনের সব ক্ষেত্রে সফলতার ভিত্তি গড়ে দেয়।
পঞ্চমত, শিক্ষার্থীদের শুধু পাঠ্যপুস্তক নির্ভর না হয়ে সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা উচিত। ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিতর্ক, রচনা প্রতিযোগিতা বা সামাজিক কার্যক্রমে যুক্ত থাকা শিক্ষার্থীর আত্মবিশ্বাস, নেতৃত্ব ও দলগত চেতনা বৃদ্ধি করে।
তাছাড়া, বিদ্যালয়ে মোবাইল ফোন, অশোভন আচরণ বা মারামারি থেকে দূরে থাকা উচিত। শিক্ষক, কর্মচারী, এমনকি ছোট ভাই-বোনদের প্রতিও সদাচরণ প্রদর্শন করা শিক্ষার্থীর ভদ্রতার পরিচায়ক।
সবশেষে বলা যায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের আচরণই প্রতিষ্ঠানটির মর্যাদা নির্ধারণ করে। একজন শিক্ষার্থীর শালীন, দায়িত্বশীল ও নৈতিক আচরণ কেবল তার নিজের উন্নতি নয়, বরং পুরো সমাজের উন্নয়নের পথ প্রশস্ত করে। তাই প্রত্যেক শিক্ষার্থীর উচিত আচরণবিধি মেনে চলা, শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনযাপন করা এবং নিজেকে একজন আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা।
- সভাপতির বার্তা

বিস্তারিত...
- প্রধান শিক্ষকের বার্তা

বিস্তারিত...
- সহকারী প্রধান শিক্ষক
বিস্তারিত
- গুরুত্বপূর্ণ লিংক
- গুগল ম্যাপ
- অফিসিয়াল ফ্যান পেইজ
- জাতীয় সংগীত

